নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের নিয়ে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আইসিটি বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ কর্মশালা। রবিবার (১৬ নভেম্বর) কক্সবাজার সিটি কলেজে কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে অধ্যক্ষ এসএম আকতার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে শিক্ষকরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে বিএনসিসি ক্যাডেটরা তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য ড. আমানুল্লাহ বলেন,“বিগত সরকারের সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। শিক্ষকদের অবস্থানও ছিল সবচেয়ে নিচে। সেই ক্ষতি পূরণ করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও কার্যকর করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন,“বর্তমান প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এআই প্রযুক্তির শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ৭-৮ বছর বয়সী শিশুদের এআই শিক্ষা শুরু করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাস সংস্কার, শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণ এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। এসব উদ্যোগ উচ্চ শিক্ষায় ৭০ শতাংশ পরিবর্তন আনবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. লুৎফুর রহমান, প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম জাফরুল আজম এবং এটুআইয়ের জয়েন্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর রাশেদুল মান্নাফ কবির।
তারা বলেন,“দেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রশিক্ষণ সেই লক্ষ্য পূরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
সভাপতিত্ব করেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ এসএম আকতার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, “জেন-জি প্রজন্ম দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। তাই এই প্রজন্মকে প্রযুক্তি-দক্ষ করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণে উপাচার্যের ভূমিকাও প্রশংসনীয়।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রেনিং প্রোগ্রামের ডিরেক্টর সালমা পারভিন। প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের প্রায় ১০০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে কলেজের শিক্ষক, রোভার স্কাউটস, রেডক্রিসেন্ট এবং শিক্ষার্থীরা অতিথিদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম, এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক গোপাল কৃষ্ণ দাশ, প্রফেসর শাহানুর আকতার, বিদ্যোৎসাহী সদস্য তাওহিদুল আনোয়ার, প্রফেসর জেবুন্নেছা, প্রফেসর নুরুল ইসলাম, প্রফেসর মংম্রা ছিন, প্রফেসর শারায়াত পারভিন, প্রফেসর জুলফিকার আলী, প্রফেসর শরমিন ছিদ্দিকাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
